এই ঘটনাটি ঘটে টাঙ্গাইলের সখীপুরে । পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের যায়েদা মার্কেট এলাকায় তাদের বারি।মেয়েটি মৌশা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহেদ আলীর ছেলে জাহিদ হাসানের সাথে সালিশী বৈঠকে তিন দিনের নবজাতককে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এক স্কুলছাত্রী ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহিদ হাসানের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্ত:সত্বা হলে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের চাপে সম্পর্ক অস্বীকার করতে চায় জাহিদ। গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ছাত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
এর যথাযত বিচারের দাবিতে ওই ছেলের পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকাবাসী। বাচ্চা প্রসব হওয়ায় মামলার ভয়ে ও এলাকাবাসীর চাপে সব কিছু মেনে নিতে বাধ্য হয় ছেলের পরিবার। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে এক সালিশী বৈঠকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে এ বিয়ের নিকাহ রেজিস্টার করা হয়।ইউপি চেয়ারম্যন আনছার আলী আসিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, স্থানীয়দের চাপে ছেলের বাবা এ বিয়ে মেনে নিলেও পরবর্তীতে এ বিয়ে টিকবে কিনা সন্দেহ আছে। ওয়াহেদ আলী বলেন, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আমি সব কিছু মেনে নিয়েছি।